শাল্লায় ৪ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আইনজীবী শিশির মনিরের লিগ্যাল নোটিশ


sylnews24 প্রকাশের সময় : সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২৪, ১:২০ অপরাহ্ন /
শাল্লায় ৪ গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে আইনজীবী শিশির মনিরের লিগ্যাল নোটিশ

হাবিবুর রহমান হাবিব, স্টাফ রিপোর্টার : সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার ২ নং হবিবপুর ইউনিয়নের শাসখাই, মৌরাপুর, আগুয়াই, বিলপুর গ্রামে বিদ্যুৎ সংযোগের জন্য লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টর আপিল বিভাগের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।

২৬ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার সিনিয়র সচিব পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগ, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়। চেয়ারম্যান বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, জেনারেল ম্যানেজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি সুনামগঞ্জ, নির্বাহি প্রকৌশলী বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সুনামগঞ্জ, এজিএম সাব- জোনাল অফিস শাল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতিকে এ নোটিশ পাঠান তিনি।

নোটিশে শাল্লা উপজেলার ২নং হবিবপুর ইউনিয়নের ৪ টি ( শাসখাই, মৌরাপুর, আগুয়াই, বিলপুর) গ্রামে সাধারণের জীবন মান উন্নয়নে পল্লী বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রাহনের জন্য নোটিশ গ্রহিতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে বিনিত অনুরোধ করা হয়।অন্যতায় আইন প্রতিষ্টার লক্ষে সংবিধানের ১০২ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হয়ে যথাযথ আইনি প্রতিকার চাওয়া হবে।

জানাযায়, সরকারের ৩০ কোটি টাকার সৌর বিদ্যুৎ প্রকল্প পাঁচ বছরের মাথায় মুখ থুবড়ে পড়েছে। দুই বছর হয় ওই প্রকল্প একেবারে বন্ধ হয়ে আছে। এই অবস্থায় বেকায়দায় পড়েছে শাল্লার হবিবপুর ইউনিয়নের ছয়শত পরিবারের চার হাজারেরও বেশি মানুষ। তিন বছরের বেশি সময় ধরে এসব গ্রামের মানুষ বিদ্যুতহীন। সাম্প্রতিক কালের গরমে এই গ্রামগুলোর মানুষের হাঁসফাঁস অবস্থা। কষ্ট দূর করতে নানা জায়গায় ধরনা দিয়েও লাভ হচ্ছে না তাদের।
শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নে ২০১৬-১৭ অর্থ বছরে ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত দেশের বৃহত্তম সৌর সোলার বিদ্যুৎ স্টেশনটি পাঁচ বছরের মাথায় মুখ থুবড়ে পড়ে আছে। ২০২২ সালের বন্যায় এই প্রকল্পের বিদ্যুৎ সরবরাহের খুঁটিসহ অনেক কিছুই ভেসে গেছে, বিনষ্ট হয়েছে। এরপর ওই প্রকল্প আর মানুষের কোন কাজে লাগে নি। এই অবস্থায় শাল্লার শাসখাই গ্রাম, বাজার, বিলপুর, মৌরাপুর ও আগুয়াই গ্রামের মানুষ প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে। কিন্তু তাদের এই কষ্টের বিষয়টি আমলে নিচ্ছে না কর্তৃপক্ষ।

গ্রাহকদের অনেকে সৌর সোলার ছেড়ে পল্লী বিদ্যুতে সংযোগ পাওয়ার জন্য যোগাযোগ করেন। কিন্তু পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষও তাদের ফিরিয়ে দেয়। পল্লী বিদ্যুৎ জানিয়ে দেয়, যেহেতু প্রকল্পটি পিডিবি’র তারাই এই গ্রাহকদের সমস্যার সমাধান দিতে হবে। এরপর ২০২০ সালের আট অক্টোবর চারশ গ্রামবাসীর স্বাক্ষরসহ এলাকাবাসী জেলা প্রশাসকের নিকট আবেদন করে জানায়, তারা পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ নিতে চায়। এই প্রকল্প থেকে মুক্তি দেওয়া হোক তাদের। তাতেও কোন কাজ হয়নি। এরপর থেকে নানা জায়গায় ধরণা দিয়েও কোন ফল পাননি ভাটি এলাকার সুবিধাবঞ্চিত কয়েক হাজার মানুষ।