নিজেস্ব প্রতিবেদক : সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ বলেছেন, ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে আমরা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছি। বঙ্গবন্ধুর আদেশ ও নির্দেশে কাজ করেছি। ১৯৭১ সালের ২১শে নভেম্বর প্রথমেই আমরা জকিগঞ্জকে স্বাধীন করেছি। ত্রিশ লাখ শহীদ ও দুই লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আজকের এই বাংলাদেশ। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ী সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতা পেয়েছি। স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধু ভঙ্গুর দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু ষড়যন্ত্রকারীরা তাঁকে হত্যার মাধ্যমে দেশকে আবার পেছনের দিকে ফেলে দেয়। ষড়যন্ত্রকারীরা এখনো তৎপর। তাদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের অপশক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। কোনো অপশক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যেতে হবে এবং আগামী নির্বাচনে নৌকা বিজয়ী করতে হবে।
রবিবার (১৬ ডিসেম্বর ২০২৩ইং) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় ধোপাদিঘীর পাড় হাফিজ কমপ্লেক্সে সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো: জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সাধারণ সম্পাদক অনুষ্ঠান পরিচালনার পাশাপাশি বক্তব্যও রাখেন। তিনি তাঁর বক্তব্যে বলেন, আজ মহান বিজয় দিবস। রক্তস্নাত বিজয়ের ৫০ বছর। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পরে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ৫৪ এর যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৫৮ এর মার্শাল ল’, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ এর ছয় দফা, ৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০ এর নির্বাচন ও ৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধ পর্যন্ত সব আন্দোলনে বঙ্গবন্ধুর অবদান ছিলো অতুলনীয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ উন্নয়নের মহাসড়কে অবস্থান করছে। এই উন্নয়নের ধারা আগামীতেও অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ।
এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সহধর্মিণী ও মোমেন ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সেলিনা মোমেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, মোঃ সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, এডভোকেট সালেহ আহমেদ সেলিম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, এাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান , শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।
মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আজম খান , আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন,প্রিন্স সদরুজ্জামান চৌধুরী, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, রাহাত তরফদার, সুদীপ দেব, সৈয়দ কামাল, রোকসানা পারভীন, জামাল আহমদ চৌধুরী, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ,সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টা এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সত্যেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত।
ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ আব্দুর রব হাজারী,ফয়েজ খান পিয়ারা, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, আক্তার হোসেন, আনোয়ার হোসেন আনার, সাজোয়ান আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ইসমাইল মাহমুদ সুজন, আনসার আহমদ কয়েছ, আব্দুস সালাম সাহেদ, মোঃ ছয়েফ খাঁন, ও সাধারণ সম্পাদবৃন্দ সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, তাজ আহমদ লিটন, এম.এ খান শাহীন, নজরুল ইসলাম নজু, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, আহমেদ হান্নান, ফকরুল ইসলাম আলকাছ, শেখ সোহেল আহমদ কবির, সেলিম আহমদ সেমিম, বদরুল ইসলাম, গুলজার আহমদ জগলু সহ অন্যান্য নেতা-কর্মীবৃন্দ।
আপনার মতামত লিখুন :