হাবিবুর রহমান-হাবিব, শাল্লা (সুনামগঞ্জ) থেকেঃ শাল্লা উপজেলার হাওরাঞ্চলের গ্রামগুলোতে প্রচন্ড শীত পড়েছে। গ্রামের মাঠে মাঠে শীতের প্রভাব বেশ চোখে পড়ছে। শীতের কুয়াশা ভেদ করে নিজ নিজ গৃহপালিত প্রাণীদের নিয়ে বের হয় গ্রামের কর্মঠ মানুষেরা। সূর্যের দেখা পাওয়া মাত্রই ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রোদ পোহাতে শুরু করে।
গ্রামের লোকজন খড়কুটো দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে শীতে উষ্ণতা খুঁজে ফিরে। আগুনের চারপাশে বসে তারা তাপ পোহাতে থাকে। তবে গ্রামীণজীবনে দারিদ্র্যের উপস্থিতি অস্বীকার করা যায় না। বস্ত্রাভাবে দরিদ্র পরিবারের অনেক মানুষের শীতে নাকাল অবস্থা হয়। গ্রামের অনেক প্রবীণ ব্যক্তির প্রাণহানিও ঘটে থাকে শীতের প্রকোপে।
১২ জানুয়ারী শুক্রবার দুপুরে দেখা গেছে, দিরাই-শাল্লা আঞ্চলিক সড়কে ঘন কুয়াশা আর হিমেল বাতাসে বিপর্যস্ত মানুষের জীবন। সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন, নিম্ন আয়ের খেটে-খাওয়া মানুষ। অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন।
এব্যাপারে শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মন্ জুর আহসান জিসান বলেন এলাকায় শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেয়েছে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ থেকে গরম কাপড় পাওয়ার সাথে সাথে যারা পাওয়ায় যোগ্য তাদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
শাল্লা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.যশবন্ত ভট্টাচার্য বলেন হঠাৎ করে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পাওয়ায় জ্বর -সর্দি, কাশি, এলার্জি, শাসকষ্ট, সহ বিভিন্ন ধরনের রোগ বৃদ্ধি পেতে পারে, এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে আমাদের কে সচেতন থাকতে হবে।
শাল্লা উপজেলা সদরস্থ ঘুঙ্গিয়ার গাঁও বাজারের নাঈম ষ্টোর এন্ড কফি হাউজের পরিচালক শাহরিয়ার পারভেজ নাঈম বলেন রাত থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সবকিছু, আজ হাওরের বুকে কোথাও দেখা মেলেনি সূর্যের, শীতে কাঁপছে হাওর পাড়ের মানুষ, গৃহপালিত পশু পাখি ও অন্যান্য প্রাণী।
আপনার মতামত লিখুন :