শাল্লায় বেড়েছে ভুট্টা চাষ, লাভজনক বলেছেন চাষীরা


sylnews24 প্রকাশের সময় : মার্চ ২৫, ২০২৪, ১২:০৭ অপরাহ্ন /
শাল্লায় বেড়েছে ভুট্টা চাষ, লাভজনক বলেছেন চাষীরা

হাবিবুর রহমান-হাবিব, শাল্লা (সুনামগঞ্জ) থেকেঃ ধান চাষের চেয়ে লাভজনক হওয়ায় শাল্লায় বেড়েছে ভুট্টার আবাদ। কম খরচে বেশি উৎপাদন করতে পেরে ভুট্টা চাষে আগ্রহী হয়ে উঠছেন কৃষকরা। অনেকেই ভুট্টা চাষ করে সফলতা পাওয়ায় ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

পাশাপাশি সার ও বীজ দিয়ে চাষিদের সহযোগিতা করছে কৃষি বিভাগ। বোরো চাষের বিকল্প ফসল হিসেবে ভুট্টা চাষে কৃষকদের আগ্রহী করে তোলা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

দিন দিন এলাকায় ভুট্টা চাষের কদর বেড়েছে। ধান চাষের চেয়ে ভুট্টা চাষে শ্রম ও অর্থ কম হওয়ার পাশাপাশি সেচ, সার ও কীটনাশক কম লাগায় এবং বাজারে দাম ধানের চেয়ে বেশি থাকায় ভুট্টা চাষে আগ্রহী হচ্ছেন চাষিরা। এতে সবাই এখন ভুট্টা চাষের দিকে ঝুঁকছে।

শাল্লা ইউনিয়নের রৌয়া গ্রামের দিপেশ চন্দ্র দাস, পন্ডিত দাস,সুকেশ দাস, কার্তৃকপুর গ্রামের মোঃ জালাল মিয়া,বাহাড়া ইউনিয়নের বেড়াঢহড় গ্রামের  সুরন্দর কুমার বৈষ্ণব সহ উপজেলার বেশ কয়েকজন কৃষকের সাথে এনিয়ে কথা হলে উনারা বলেন এলাকায় সব সময় ধান চাষ হয় এখন ধানের পাশাপাশি বিভিন্ন স্থানে  ভুট্টা চাষ হচ্ছে, ভালো ফলন হওয়ায় অন্য বছরের তুলনায় এবার ভুট্টা চাষ বৃদ্ধি পেয়েছে।

কৃষকরা  ধান চাষে খাটুনি বেশি, ফসলেরও ঝুঁকি থাকে, দিন দিন খরচ বাড়ছে, খরচ কর্তন করে তেমন কিছু থাকেনা, উল্লেখ্য করে বলেন এই তুলনায় ভুট্টা চাষে সুবিধা বেশি ও লাভজনক।

উৎপাদন ভালো হলেও ফসলের ন্যায্য দাম পান না কৃষকরা। সরকারিভাবে চাষিদের কাছ থেকে ভুট্টা ক্রয় করতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ ও করেন কৃষকেরা।

উপজেলা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর শাল্লা জেলায় ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয় ২শত একর জমি।
কিছু দিনের মধ্যেই ফসল কাটা শুরু হবে,যার বাজারমূল্য প্রায়  ১ কোটি ৩৩ লক্ষ টাকা ধরা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

২৫ মার্চ সোমবার এনিয়ে প্রতিবেদকর সাথে কথা হলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আব্দুল্লাহ আল মাসুদ তুষার জানান শাল্লা উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে গত মৌসুমের চেয়ে এবার ভুট্টা চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। দিন দিন ভুট্টা চাষের আগ্রহ বাড়ছে। আমরা কৃষকদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে আসছি। কৃষকরা যাতে তাদের উৎপাদিত ফসল ন্যায্য মূল্যে বিক্রি করতে পারেন সেই ক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির সাথে কৃষকদের সমন্বয় করেন বলে জানান তিনি।