শাল্লা থেকে নিজস্ব প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের শাল্লায় অগ্নিকাণ্ডে দুই মালিকের চারটি বাসা পুড়ে ছাই হয়েছে। ২২ অক্টোবর রবিবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় দিকে সদরস্থ ঘুঙ্গিয়ারগাঁও গ্রামে মহিতোষ দাশের বাড়ি থেকে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মহিতোষ দাশের এই বাসায় ভাড়াটিয়া বিকাশ সুত্রধরের রুম থেকে বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সুত্রপাত হয়েছে।
মুহুর্তেই আগুনের লেলিহান শিখা দাওদাও করে ছড়িয়ে পড়লে সংলগ্ন ডা: কুমুদ রঞ্জন মজুমদারের বাসায় আগুন লেগে আরও ভয়াবহ রূপ নেয়।
আজ মহা অষ্টমীতে পূজা মন্ডপে অধিকাংশ মানুষ থাকায়, পার্শ্ববর্তী থানা মসজিদের ইমাম মাইকে অগ্নিকান্ডের ঘোষনা দিলে স্থানীয় ও আশপাশের লোকজন, উপজেলা ও পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি সবাই ঘটনাস্থলে পৌঁছে সম্মিলিত হয়ে প্রায় একঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েকজন হতাহত হয়েছে, তবে স্থানীয়দের মতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষয়ক্ষতির হয়েছে প্রায় কোটি টাকা।
এব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের শাল্লায় দায়িত্বপ্রাপ্ত জয়ন্ত সিংহ বলেন, আমি বাড়িতে আসছি। শাল্লায় আমাদের কার্যক্রম ও লোকবল না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আমরা কিছুই করতে পারছি না। তবে আমাদের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এব্যাপারে শাল্লা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট দিপু রঞ্জন দাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু তালেব উনরা বলেন আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয় মানুষ ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে আমরা তদন্ত পূর্বক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহযোগিতা করার সুযোগ থাকলে অবশ্যই করবো।
এব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের ধারনা বিদ্যুতের শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে আগুনের সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের থানায় সংরক্ষিত আগুন নিয়ন্ত্রণের যন্ত্র দ্বারা এবং সবার সহযোগিতায় আগুন নেভানো হয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি কি পরিমান হয়েছে এখনো তা বলা যাচ্ছে না তবে আমাদের তদন্ত চলছে।
আপনার মতামত লিখুন :