বঙ্গবন্ধুর অবশিষ্ট খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করা হোক : সৈয়দা জেবুন্নেছা হক


sylnews24 প্রকাশের সময় : অগাস্ট ১৫, ২০২৩, ২:০৭ অপরাহ্ন /
বঙ্গবন্ধুর অবশিষ্ট খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করা হোক : সৈয়দা জেবুন্নেছা হক

নিজেস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেসা হক বলেছেন,১৯৭৫ সালের এই দিনে ঘাতকরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। জাতির পিতার সহধর্মিণী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তিন পুত্র- ক্যাপ্টেন শেখ কামাল, লেফটেন্যান্ট শেখ জামাল, দশ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেল, পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী জামাল, একমাত্র সহোদর শেখ আবু নাসের, কৃষকনেতা আব্দুর রব সেরনিয়াবাত, যুবনেতা শেখ ফজলুল হক মণি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী আরজু মণি, বেবী সেরনিয়াবাতসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্যকেও নৃশংসভাবে ঘাতকরা এ দিনে হত্যা করেছিল। সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর জন্যই আমরা লাল সবুজের পতাকা পেয়েছি। স্বাধীনভাবে চলতে পারছি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও তাঁর আদর্শকে হত্যা করতে পারেনি। ইতিমধ্যে বঙ্গবন্ধুর খুনীদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। অবশিষ্ট খুনীদের দেশে ফিরিয়ে এনে অবিলম্বে ফাঁসি কার্যকর করা হোক। তাহলে বঙ্গবন্ধুর আত্মা শান্তি পাবে। তিনি আরও বলেন, জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। তাঁর নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন অব্যাহত রয়েছে। আগামী নির্বাচনেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিজয়ী করতে হবে। সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে যেতে হবে। উপস্থিত সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান জানিয়ে তিনি বক্তব্য শেষ করেন।

মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট ২০২৩ইং) দুপুর ১২ টায় চৌহাট্টাস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয়ে শোক র‌্যালি বের করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করে মহানগর আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। শোক র‌্যালিটি শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মুখে গিয়ে শেষ হয়। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দরগাহগেইটস্থ মুসলিম সাহিত্য সংসদের শহীদ সোলেমান হলে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুক উদ্দিন আহমদ ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মো: জাকির হোসেনের পরিচালনায় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী।

আলোচনা সভা শেষে খতমে কুরআনের দোয়া মাহফিল পরিচালনা করেন রায়নগর বায়তুল বরাত জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব মওলানা হাফিজ আবিদ হাসান রাহমানি। দোয়া মাহফিলে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সহ পরিবারের সকল নিহত সদস্যের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। মহানগর আওয়ামী লীগের প্রয়াত নেতৃবৃন্দের রুহের মাগফেরাত কামনা করা হয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দীর্ঘায়ু কামনা সহ দেশ ও জাতি এবং বিশ্বের শান্তি কামনা করা হয়।
দোয়া মাহফিল শেষে শিরনী বিতরণ করা হয়। এর পূর্বে সকালে সূর্য উদয় ক্ষণে দলের অস্থায়ী কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন সহ কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়।

এসময়ে উপস্থিত ছিলেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদ উদ্দিন আহমদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালিক, ফয়জুল আনোয়ার আলাওর, বিজিত চৌধুরী, নুরুল ইসলাম পুতুল, এডভোকেট প্রদীপ কুমার ভট্টাচার্য্য, মোঃ সানাওর, জগদীশ চন্দ্র দাস, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এটি.এম হাসান জেবুল, আজাদুর রহমান আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক এডভোকেট সৈয়দ শামীম আহমদ, ডাঃ আরমান আহমদ শিপলু, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক তপন মিত্র, এাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মখলিছুর রহমান কামরান, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার মহসিন কামরান, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক নজমুল ইসলাম এহিয়া, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুর রহমান জামিল, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আজাহার উদ্দিন জাহাঙ্গীর, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ জুবের খান , যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক সেলিম আহমদ সেলিম, শ্রম সম্পাদক আজিজুল হক মঞ্জু, সাংস্কৃতিক সম্পাদক রজত কান্তি গুপ্ত, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাঃ মোহাম্মদ হোসেন রবিন, উপ-দপ্তর সম্পাদক অমিতাভ চক্রবর্ত্তী রনি , সহ-প্রচার সম্পাদক সোয়েব আহমদ, কোষাধ্যক্ষ লায়েক আহমেদ চৌধুরী।

মহানগর আওয়ামী লীগের সদস্যবৃন্দ আব্দুল আহাদ চৌধুরী মিরন, মোঃ আব্দুল আজিম জুনেল, নুরুন নেছা হেনা, মুক্তার খান, এডভোকেট মোহাম্মদ জাহিদ সারোয়ার সবুজ, এমরুল হাসান, সুদীপ দেব, সাব্বির খান, সৈয়দ কামাল, ওয়াহিদুর রহমান ওয়াহিদ, জাফর আহমদ চৌধুরী, জামাল আহমদ চৌধুরী, খলিল আহমদ, আবুল মহসিন চৌধুরী মাসুদ, মহসিন চৌধুরী, ইঞ্জিনিয়ার আতিকুর রহমান সুহেদ, সম্মানিত জাতীয় পরিষদ সদস্য এডভোকেট রাজ উদ্দিন, উপদেষ্টা আব্দুল মালিক সুজন, এনাম উদ্দিন, বীর মুক্তিযোদ্ধা সতেন্দ্র দাস তালুকদার খোকা বাবু, কানাই দত্ত।

মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি এম শাহরিয়ার কবির সেলিম, সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আলম রুমেন, মহানগর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আব্দুর রকিব বাবলু, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহানারা বেগম, সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান, মহানগর যুবলীগের সভাপতি আলম খান মুক্তি, সাধারণ সম্পাদক মুসফিক জায়গিরদার, মহানগর তাঁতী লীগের সভাপতি নোমান আহমদ, সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল হাসনাত বুলবুল।

ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতিবৃন্দ মুফতি আব্দুল খাবির, আব্দুর রব হাজারী, আব্দুল হামিদ, মুহিবুর রহমান ছাবু, সালউদ্দিন বক্স সালাই, রোকন আহমদ, ফখরুল হাসান, সিরাজুল ইসলাম শামীম, এডভোকেট সরওয়ার চৌধুরী আবদাল, আক্তার হোসেন, সাজোয়ান আহমদ, দিলোয়ার হোসেন রাজা, ফয়সল আক্তার ছোবহানী, আব্দুস সালাম সাহেদ, মোঃ ছয়েফ খাঁন, ও সাধারণ সম্পাদবৃন্দ সৈয়দ আনোয়ারুস সাদাত, তাজ আহমদ লিটন, এম.এ খান শাহীন, জাহিদুল হোসেন মাসুদ, জায়েদ আহমেদ খাঁন সায়েক, নজরুল ইসলাম নজু, এডভোকেট মোস্তফা দিলোয়ার আজহার, মোঃ বদরুল ইসলাম বদরু, মানিক মিয়া, চন্দন রায়, এডভোকেট বিজয় কুমার দেব বুলু, আহমেদ হান্নান, রুমেল আহমদ রুমিন, বদরুল হোসেন লিটন, মইনুল ইসলাম মঈন, শেখ সোহেল আহমদ কবির, জাবেদ আহমদ, সেলিম আহমদ সেমিম, বদরুল ইসলাম, গুলজার আহমদ জগলু, আনোয়ার হোসেন আনার সহ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীবৃন্দ।